খালেদা জিয়া প্যারোলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেননি: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোল মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে যাওয়ার জন্য কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পয়লা বৈশাখ, ১৬ ডিসেম্বর এমন কিছু বিশেষ দিনে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তেমনি পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১৪ তারিখও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। এখানে নতুন কিছু আবিষ্কার করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে অনেকে অনেক কথা জানতে চেয়েছেন, বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে, এসব নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের নির্বাচন করা হয়, যাঁরা মানুষের অধিকার হরণ করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে, যারা ভালো আছে। কারণ তারা একটি গোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ ছাড়া বেশির ভাগ সাংবাদিক বেকার। যারা ‘উপনিবেশবাদ’, ‘আধিপত্যবাদের’ বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের চাকরি থাকে না। ফলে দেখা যায়, একের পর এক পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা। সাংবাদিকদের গুম করা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে।

দেশে মানুষের অধিকার নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে মানুষের অধিকার নেই। ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের সঙ্গে উল্টো আচরণ করছে। তিনি আরও বলেন, আগে টেলিভিশনে অনেক ব্যক্তি টক শোতে কথা বলতেন। এখন তাঁরা যেন না আসতে পারেন, সেই পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব ফখরুল আরও বলেন, জনগণ ছাড়া বিকল্প নেই। সত্য কথা বুকে নিয়ে জনগণের সামনে যেতে হবে। এই লড়াই শুধু সাংবাদিকদের লড়াই নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য সবাই যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।