রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কৃষি কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে জাকিরুল ইসলাম মিলন (৩৮) নামের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন রংপুরের আদালত। এ ছাড়া এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তা নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে মামলাটির বিচারকাজ চলার পর আজ রায় ঘোষণা করা হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাকিরুল বদরগঞ্জের রামনাথপুর পাঠানপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, ২০০৫ সালের ৪ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মাথায় পানি ঢালার জন্য প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নেন জাকিরুল ইসলাম। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন জাকিরুল ইসলাম। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায়। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে অপসরফার চেষ্টা করা হলেও তা ভেস্তে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৩ জুলাই বদরগঞ্জ থানায় জাকিরুলকে আসামি করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। ওই একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৩ বছরের অধিক সময় ধরে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তা নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার সময় জাকিরুল ইসলাম পড়াশোনা শেষ করে চাকরির সন্ধান করছিলেন। বর্তমানে তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।