কাউখালীতে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের মো. খসরু হাওলাদার (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে প্রতিবেশী লিমন হোসেন শেখ (৩৫) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত লিমন হোসেন শেখ উপজেলার কচুয়াকাঠি গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে।


মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে লিমন প্রতিবেশী মো. খসরু হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে রাতুলকে পুকুরে নামিয়ে ক্রিকেটের বল তুলে এনেছিলেন। এতে রাতুলের শরীর ভিজে যায়। ভাইয়ের ছেলেকে পুকুরে নামানোর কারণে খসরু হাওলাদার বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতে থাকা কয়েকজনকে উঠানে খেলতে নিষেধ করেন। এ সময় ক্রিকেট খেলা নিয়ে লিমনের সঙ্গে খসরুর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লিমন দৌড়ে গিয়ে একটি চাকু নিয়ে এসে খসরুর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় খসরুর স্ত্রী হামিদা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা বাধা দিয়েছিলেন। তবে লিমন সবাইকে লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে খসরুকে আরও দুবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। খসরুকে গুরুতর অবস্থায় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন খসরুর ছোট ভাই রিপন হাওলাদার লিমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে কাউখালী থানা-পুলিশ তদন্ত করে। পরে আদালত তদন্তভার মামলার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেন। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবির পিরোজপুরের উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারেফ হোসেন লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এম ডি আউয়াল প্রথম আলোকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।