ফরিদপুরে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১২

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বেলজানী গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় ঢাল-সড়কিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেলজানী গ্রামের বাসিন্দা চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মাতুব্বরের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. সবুজের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত রোববার সকালে আলাউদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থক আবদুর রউফ মাতুব্বর মাঠে যাওয়ার পথে ইউপি সদস্য সবুজের কয়েকজন সমর্থক অতর্কিত হামলা করেন। এতে রউফ আহত হন। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে আলাউদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থকেরা সবুজ মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে।

বোয়ালমারী থানা সূত্রে জানা গেছে, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মো. সবুজ মেম্বারের সমর্থক জিন্না মিয়া বাদী হয়ে আলাউদ্দিন মাতুব্বরের পক্ষের ৭০ জনকে আসামি করে আজ সকালে একটি মামলা করেন। এর আগে গত সোমবার রউফ মাতুব্বরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তাঁর ছেলে বাবলু মাতুব্বর বাদী হয়ে মো. সবুজ মেম্বারের পক্ষের ৫১ জনকে আসামি করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আজ ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবলু মাতুব্বরের করা মামলায় রজব আলী শেখ, আবু বক্কার মোল্লা, গোলাম মওলা এবং জিন্না মিয়ার মামলায় ইয়াসিন মোল্লা, ধলা মিয়া, মুছা মোল্লা, মো. মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া এ দুটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ওমর আলী, মো. শাহিন, মো. শফিকুল ও শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় বেলজানী গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১৫টি ঢাল, ২০টি সড়কি, একটি রাম দা, দুটি ছোরা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজিবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।