শসা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

মাচান নষ্ট করে দেওয়ায় নুইয়ে পড়েছে সারি সারি শসা গাছ। ছবি: প্রথম আলো
মাচান নষ্ট করে দেওয়ায় নুইয়ে পড়েছে সারি সারি শসা গাছ। ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক কৃষকের জমির ১২ সারি শসা গাছ কেটে দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি আরও কয়েক সারি শসা গাছের মাচানও নষ্ট করে দিয়েছে তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে নান্দাইলের ভাটিসাভার গ্রামের কৃষক মো. মোস্তফার (৪৫) জমিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, আসন্ন রমজানে বাজারে বিক্রির উদ্দেশে ৯০ শতক জমিতে শসা চাষ করছিলেন তিনি। বুধবার ভোরে জমিতে এসে দেখতে পান, জমিতে ১২ সারি শসা গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ২০ শতক জমির শসা খেতের মাচান কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে মাচানে পেঁচিয়ে থাকা শসা গাছগুলোও মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

কারা এই কাজ করেছে জানতে চাইলে মো. মোস্তফা বলেন, গাছগুলো কে কেটেছে তা তিনি দেখেননি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর চাচা মো. আলী আকবর জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তিনি। জমির মালিকানা নিয়ে আলী আকবরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল তাঁর। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মদদে আলী আকবরের লোকজন তাঁর প্রায় ১০০ শতক জমি দুই বছর ধরে অনাবাদি করে রেখেছেন। প্রতিবাদ জানালে গত সোমবার রাতে মোস্তফা ও তাঁর ছোট ভাই মো. মাসুদ মিয়াকে মারধর করে আলী আকবর ও তাঁর লোকজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শসা গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, আলী আকবর যে জমির মালিকানা দাবি করছেন তাঁর স্বপক্ষে ইউপি থেকে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আকবর মারামারির ঘটনা স্বীকার করলেও শসা গাছ কাটার কথা অস্বীকার করেন।