ঢাকা ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তাসহ দুজন কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

ফেনীতে ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকদের হিসাব থেকে টাকা আত্মসাৎকারী ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম সৈয়দ রাসেবের সহযোগী ওই শাখার ক্যাশ ইনচার্জ আবদুস সামাদকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকালে তাঁকে ফেনী শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎকারী কর্মকর্তার সহযোগী হুন্ডি ব্যবসায়ী আজিম খোন্দকারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এ নিয়ে ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বিকেলে ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা আবদুস সামাদ ও তাঁদের সহযোগী হুন্ডি ব্যবসায়ী আজিম খোন্দকারকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা আবদুস সামাদ ও আজিম খোন্দকারকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের ফেনী শাখার কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাসেব বেশ কয়েকজন গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ আবদুস সামাদ। ঘটনা তদন্তে দেখা যায়, হুন্ডি ব্যবসায়ী আজিম খোন্দকারের মাধ্যমে রাসেব তাঁর ঢাকায় অবস্থানরত ভাই হোসেন মো. কাউছার ওরফে জাপানি কাউছারের ব্যাংক হিসেবে দেড় কোটি টাকা পাচার করেছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু টাকা অন্যত্র পাচার করা হয়েছে।

২ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম সৈয়দ রাসেবকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরদিন ৩ এপ্রিল তাঁকে ফেনীর আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

গত ১৯ মার্চ ঢাকা ব্যাংকের ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক মো. আক্তার হোসেন সরকার ব্যাংকটির ক্রেডিট বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম সৈয়দ রাসেব ও ক্যাশ অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদকে আসামি করে ৭ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়।