ব্যাংক কর্মকর্তা ভেবে চেক দেন, টাকা তুলে ভাগলেন প্রতারক

৯৪ হাজার টাকা নিয়ে পালানো প্রতারকের (দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি) ছবি ধরা পড়েছে ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজে। ছবি: সংগৃহীত
৯৪ হাজার টাকা নিয়ে পালানো প্রতারকের (দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি) ছবি ধরা পড়েছে ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজে। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন আবদুল মালেক। ঋণ পরিশোধের জন্য বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন ছেলে। সেই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে পালিয়ে গেছেন এক প্রতারক। বুধবার ঝিনাইদহের মহেশপুরে একটি ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রতারণার শিকার আবদুল মালেক বলেন, তিনি পড়াশোনা জানেন না। কৃষিকাজ করে সাতজনের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ায় আট মাস আগে বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে জাহিদুল ইসলামকে মালয়েশিয়া পাঠান তিনি। ঋণ পরিশোধের জন্য এর আগে একবার বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন জাহিদুল। এবার টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন।

প্রতারণার ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল মালেক বলেন, বুধবার সকালে ব্যাংকে এসে এক কর্মকর্তার কাছে একটি চেক দেন তিনি। সেই কর্মকর্তা চেকে স্বাক্ষর দিয়ে আরেক কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার জন্য বলেন। অপর কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার পথে অপরিচিত এক লোক এসে চেকটি নিয়ে সেই কর্মকর্তার টেবিলে দেন। লোকটিকে ব্যাংকের লোক ভেবে বিশ্বাস করে তাঁর কাছে চেকটি দেন তিনি। টাকা পেতে দুই ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়ে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন লোকটি। কিন্তু আধা ঘণ্টা পর লোকটিকে কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, লোকটি তাঁর চেক দিয়ে ৯৪ হাজার টাকা তুলে পালিয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আবদুল মালেক। জানতে চাইলে মহেশপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, থানায় জিডি হয়েছে। ব্যাংকে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রতারককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।