পাবনার হেলাল খুনের নেপথ্যে পরকীয়া!

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

পাবনার হেলাল (৪০) মাছের ব্যবসা করতেন। দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন পাবনায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পাবনার স্থানীয় সাবিনা খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন। কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসায় ওঠেন তিনি। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি খুন হন হেলাল। কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশের তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পরকীয়ার জের ধরে খুন হয়েছেন হেলাল। তাঁকে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাইফুল ইসলাম ছানি (২০) ও পলাশ আলী সরকার (২৩)। খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এরই মধ্যে ঢাকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পলাশ। দুজনই এখন কারাগারে। সাইফুল হলেন সাবিনার ছেলে আর পলাশ সাবিনার ভাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইদ্রিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাবিনার সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরেই হেলাল খুন হয়েছেন। ঢাকায় আসার পর হেলাল আর সাবিনা কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া নেন। সাবিনার আরেক বোন সীমা বেগম থাকেন কামরাঙ্গীরচরে। সাবিনাকে খুঁজতে ঢাকায় আসেন সাইফুল ও পলাশ। একপর্যায়ে হেলাল আর সাবিনাকে এক ঘরে দেখেন তাঁরা। তখন হেলালকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান তাঁরা।

আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি পলাশ ও মনিরুল হেলালকে ধরে রাখেন। তখন সাবিনার ছেলে সাইফুল ইসলাম ছুরি দিয়ে হেলালের ডান পায়ের ঊরুতে আঘাত করেন। এরপর ডান হাতের কবজি ও পিঠে জখম করা হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় হেলালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী হেলালের স্ত্রী রিমা বেগম মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামীকে কৌশলে ঢাকায় এনে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে ঢাকা আসেন তাঁর স্বামী। তাঁকে হত্যার পর সেই টাকাও নিয়ে গেছে খুনিরা।

পুলিশ কর্মকর্তা ইদ্রিসুর রহমান বলেন, একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাবিনা এখন কারাগারে। আর খুনের সঙ্গে জড়িত সাবিনার ভাই পলাশের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পলাতক অপর আসামি মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

হেলালের স্ত্রী রিমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী হেলাল নিহত হওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপদে আছেন। তিনি এখন অন্তঃসত্ত্বা। স্বামী খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।