প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে খুন হতে হলো

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কলেজছাত্রীকে (১৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে এক কলেজছাত্র (১৭)। খুনের পর ওই ছাত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় স্থানীয় লোকজন আটক করে তাকে পুলিশে দিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছে ওই ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত ছাত্র উভয়ে একাদশ শ্রেণিতে পৃথক কলেজে পড়ত। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সে বেশ আগে থেকে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্বজনেরা জানান, আজ ওই ছাত্রীর একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা আড়াইটার দিকে সে বাসায় ফিরছিল। ফেরার পথে কোনাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকায় পৌঁছালে ওই কলেজছাত্র তার গতিরোধ করে। এ সময় ওই ছাত্র আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে তারা। অন্যদিকে, ওই ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় কোনাবাড়ীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন। তবে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ঢাকায় নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে নেওয়া হয়।

ওই ছাত্রীর বড় ভাই প্রথম আলোকে জানান, কলেজে আসা-যাওয়ার পথে তাঁর বোনকে প্রায় উত্ত্যক্ত করত ওই ছাত্র। কিছুদিন আগে ওই ছাত্রের হুমকিতে তাঁর বোন কয়েক দিন কলেজে যায়নি। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রের মাকে মুঠোফোনে জানানো হয়। সে সময় ওই ছাত্রের মা কোনো সমস্যা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন। ছেলেকে তাঁরা শাসন করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলেজছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওই কলেজছাত্র। এ ছাড়া ওই ছাত্রের কাছ থেকে একটি ধারালো রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর গলার নিচে বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো মামলার খবর পাওয়া যায়নি।