মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ওই একই মামলায় দুই ভাইকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এই আদেশ দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ওই নারীর নাম নাসিমা বেগম (৪০)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চামনাই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী। দুই ভাই হলেন মাহবুবুর রহমান জ্যোতি (৪৯) ও মহসীন আলী টিপু (৩২)। তাঁরা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চামনাই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

রায়ে বিচারক নাসিমাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হবে বলে আদেশ দেন। এ ছাড়া ওই দুই ভাইয়ের উভয়কে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। আসামি অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি নাসিমা বেগম ও মহসীন আলী টিপু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মাহবুবুর রহমান জ্যোতি এখনো পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানায় যায়, ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর দৌলতপুরের চামনাই গ্রামে অভিযান চালায় কুষ্টিয়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। অভিযানকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসিমা বেগমের বাড়ি থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেন তারা। ওই ঘটনায় আটক নাসিমা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে নাসিমা বলেন, মাহবুবুর রহমান জ্যোতি ও মহসীন আলী টিপু উভয়ের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছেন।