অবৈধ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে নির্দেশনা রয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ফাইল ছবি

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর অবৈধ বহুতল ভবন ভাঙতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় চেয়ে করা আবেদনে আদালত অবমাননা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তা আদালতে যাবে এবং সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

বুধবার বিজিএমইএর অবৈধ ভবন ভাঙার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আপিল বিভাগে করা আবেদন তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়ে বিজিএমইএর সভাপতিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সময় চেয়ে আবেদন প্রত্যাহার না করা হলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না, উল্লেখ করে বিজিএমইএর দেওয়া অঙ্গীকারে আবেদন মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভবন সরাতে সময় বৃদ্ধি করে আদেশ দেন।

বিজিএমইএ ভবন সরাতে ১২ এপ্রিল সময় শেষ হয়। এরপরও ভবন সরিয়ে না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাজউক ভবনটি সিলগালা করে দেয়।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময়ও পায় তারা। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় পায় সংগঠনটি। সে সময় তারা মুচলেকা দেয়, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না।

কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি দুটি বেসমেন্টসহ ১৬ তলা। বিজিএমইএ ব্যবহার করে চারটি তলা। বাকি জায়গা দুটি ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। ভবনের ওপরের দুই তলা নিয়ে বিলাসবহুল ‘অ্যাপারেল ক্লাব’ করা হয়েছে। সেখানে সংগঠনের সদস্যদের জন্য সুইমিং পুল, ব্যায়ামাগার, রেস্টুরেন্ট ও সভাকক্ষ আছে। বড় আকারের একটি মিলনায়তনও আছে।