সাড়ে তিন বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৪ ভাগ!

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেসালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন বছর শেষ হয়ে গেছে। কাজের অগ্রগতি মাত্র চার শতাংশ।

প্রকল্পের এই মন্থর গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। মন্থর গতির কারণ ব্যাখ্যা দিতে প্রকল্প পরিচালককে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, আরও কিছু আলোচ্যসূচি থাকলেও আজকের বৈঠকে সুপার স্পেসালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প নিয়েই শুধু আলোচনা হয়। কোরিয়ান সরকারের সহায়তায় এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্প শুরু হয়। মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর।

রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের উত্তর পাশের তিন দশমিক ৮ একর জমির নির্মিত হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪ ভাগ। কেন এই অবস্থা বৈঠকে কেউ এর যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। বৈঠকে ওই প্রকল্পের পরিচালক চিকিৎসক জুলফিকার রহমান খান উপস্থিত ছিলেন না। একজন চিকিৎসককে অবকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ করায় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করে।

বৈঠক শেষে অনুমিত হিসাব কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, চার বছরের প্রকল্পের প্রায় সাড়ে তিন বছর চলে গেছে। কাজ হয়েছে ৪ ভাগ, বাকী ৯৬ ভাগ কাজ কীভাবে হবে—কমিটি তা জানতে চেয়েছে। প্রকল্প পরিচালক বৈঠকে না থাকায় কেউ যথাযথ তথ্য দিতে পারেননি বা জোরালোভাবে কোনো কিছু খণ্ডন করতে পারেনি। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ কীভাবে নেওয়া হবে এবং প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটিকে জানাতে বলা হয়েছে এবং প্রকল্প পরিচালককে বৈঠকে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

আবদুস শহীদ বলেন, এই প্রকল্পের পরিচালক একজন চিকিৎসক। প্রায় প্রকল্পে দেখা যায়, পরিচালক দক্ষ বা অভীজ্ঞ নন। সরকারের উদ্যোগের অভাব নেই। দেখতে হবে প্রকল্প পরিচালকদের উদ্যোগ কতটুকু। কমিটি যে কোনো প্রকল্পে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ বি তাজুল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস, বজলুল হক হারুন, আহসান আদেলুর রহমান ও ওয়াসিকা আয়সা খান উপস্থিত ছিলেন।