ব্যবসায়ী স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বেসিক ব্যাংক থেকে ২৯৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় স্বামী–স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন জাপা নেতা ও সাবেক সাংসদ মাহজাবীন মোরশেদ ও তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম (জাপা এরশাদ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি তিনি। তাঁর স্ত্রী মাহজাবীন মোরশেদ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের (মহিলা আসন-৪৫) সাবেক সদস্য।

আদালত সূত্র জানায়, বেসিক ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে ১৪১ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাহজাবীন মোরশেদ, তাঁর প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশন লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ মোজাফফর হোসেন, বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করে দুদক। এতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত না দিয়ে এবং শাখা কার্যালয়ের নেতিবাচক মতামত সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর ও উত্তোলন করেন। ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৯ নভেম্বর সময় পর্যন্ত সময়ে এই দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। মাহজাবীন মোরশেদ আইজি নেভিগেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ওই ঋণের আবেদন করেছিলেন।

আরেক মামলায় মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম এবং বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমানকে আসামি করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মোরশেদ মুরাদের মালিকানাধীন ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের নামে ১৩৪ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা দুটি করা হয়। চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত দুদক কর্মকর্তা এমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হওয়ার পর মাহজাবীন ও তাঁর স্বামী মোরশেদ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আত্মসাৎ করা টাকা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আদালত নির্দেশ দেন। কিন্তু তা না করে ও হাজির না হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ দুজনের জামিন বাতিল করেন। পরে মহানগর হাকিম পরোয়ানা জারি করেন।