নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় কাউন্সিলর করিম গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চাঁদাবাজির মামলায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কেবল ব্যবসায়ী আবদুল করিম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় লোকজন জানান, কাউন্সিলর আবদুল করিম স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান সাংসদ শামীম ওসমান।

মামলার বাদী কাউসার হোসেন স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কের কর্মচারী। এজাহারে বলা হয়, কাউন্সিলর আবদুল করিম অনেক দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেবল লাইনের (ডিশ) ব্যবসা করে আসছেন। তাঁর লোকজন বিভিন্ন জায়গায় অন্য কেবল ব্যবসায়ীদের তার কেটে নিজেদের সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনায় বন্দরে কেবল নেটওয়ার্কের মালিক পারভেজ আলম, মো. সাইফুল ইসলামের (শ্যামল) সঙ্গে কাউন্সিলর করিমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কেবল ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন করিম। ১৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে তিনটায় বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের কেবল নেটওয়ার্কের লাইনের কর্মচারীরা তার মেরামত করছিলেন। সে সময় করিমের নির্দেশে ফরাজীকান্দা এলাকার সজীব, রিতু, রনি, জুম্মাল, নিজুম, রানাসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের (কর্মচারী) এলোপাতাড়ি মারধর করে ১০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লুট করে নিয়ে যান। এরপর থেকে ওই এলাকার দুই হাজারের বেশি গ্রাহক ডিশ-সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-১) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে বন্দর থানায় করা মামলায় কাউন্সিলর আবদুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে মামলার গ্রেপ্তার আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে ছোট দেলু ও মো. ঝন্টু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আবদুল করিম ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন তাঁরা।