লালমনিরহাটে প্রকৌশলীকে মারধর: জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

এ কে এম হুমায়ুন কবীর। ছবি: সংগৃহীত
এ কে এম হুমায়ুন কবীর। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারীর এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আদিতমারী থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন এ কে এম হুমায়ুন কবীর (৪৫)। তিনি লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। পুলিশ তাঁকে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন রোড থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এলজিইডির প্রকৌশলী ও কার্যসহকারীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা ও চাঁদা দাবির মামলার প্রধান আসামি হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লালমনিরহাট শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকা থেকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বাদী প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলাম এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর জানামতে হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একটি ক্যাডার বাহিনী আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিসহ নানা রকম অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

লালমনিরহাট জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে আদিতমারীর সরলখা জেলা সড়ক থেকে সারপুকুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ুন ও তাঁর ভাই রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদের (৩৫) নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলামের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিডিউল মোতাবেক কাজ হচ্ছে তাই চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানা জাকিরুল। এতে তাঁরা খেপে গিয়ে জাকিরুলকে মারধর শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে একই কার্যালয়ের কার্যসহকারী আশরাফুল আলম এগিয়ে এলে তিনিও বেদম পিটুনির শিকার হন।