মহেশখালীতে ভিড়েছে সামিটের এলএনজি

মহেশখালী থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয়েছে এলএনজি বহনকারী টার্মিনালটি। ছবি: সংগৃহীত
মহেশখালী থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয়েছে এলএনজি বহনকারী টার্মিনালটি। ছবি: সংগৃহীত

সামিটের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ভাসমান টার্মিনালটি কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছে। এটি কক্সবাজারের মহেশখালী সমুদ্র উপকূল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে টার্মিনালটি কক্সবাজারে পৌঁছায়। এই টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

সামিটের ভাসমান টার্মিনালটি ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে ১৪ দিন আগে কাতার থেকে রওনা দেয়। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির টার্মিনাল জাহাজটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে এসে পৌঁছায়। এ টার্মিনাল থেকে বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সামিটের টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় গ্যাস-সংকট কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের এলএনজি টার্মিনালটি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। মহেশখালী ভাসমান টার্মিনাল থেকে ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইন হয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জাতীয় গ্রিডে ওই গ্যাস যোগ হবে। এ জাহাজ থেকে আগামী ১৫ বছর প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সামিট বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যথাযথ সক্ষমতা অর্জনে সরকারের সাহসী নেতৃত্বের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নত দেশে উত্তরণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সবচেয়ে সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং টেকসই জ্বালানি-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সামিট।