১০০ টাকার জন্য খুন, স্বীকার করলেন তিনি

পাওনা ছিল ১০০ টাকা। এর জন৵ই হত্যা। হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যাকারী। ঘটনাস্থল রাজধানীর কাছের আশুলিয়া। 

এই আশুলিয়ার জহিরুল ইসলামকে (২৮) খুন করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন রেজাউল ইসলাম রেজা (১৮) নামের এক যুবক। গতকাল শনিবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর রেজাউলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী স্পিকার ফার্মের মসজিদের গলিতে রাস্তার ওপর জহিরুলের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল মালেক সেদিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

আবদুল মালেক রোববার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লুডু খেলা বাবদ রেজাউল তাঁর ছেলে জহিরুলের কাছে এক শ টাকা পেত। বিষয়টি রেজাউল তাঁকে জানায়। এক হাজার টাকা নোট থাকায় সেদিন তিন আর একশ টাকা দিতে পারেননি। সেই টাকার জন্য রেজাউল তাঁর ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল মারা যান।

আশুলিয়া থানা-পুলিশ গতকাল ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, আসামি রেজাউল ইসলাম জহিরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে চান।
আদালত সূত্র বলছে, রেজাউল সেদিন জহিরুলের বাবার দোকানে যান। ধার দেওয়া এক শ টাকা চান। তখন জহিরুল তাঁকে বলেন, কীসের টাকা। টাকা ফেরত না পেয়ে জহিরুলের বাবার কাছে তিনি বিচার দেন। এরপর জহিরুলকে তার বাবা মারধর করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর আশুলিয়ার পলাশবাড়ী স্পিকার ফার্মের সামনে যান। সেখানে জহিরুলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। জহিরুল চাকু দিয়ে তাঁকে মারতে আসে। তখন তিনি জহিরুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর জহিরুলকে ছুরিকাঘাত করেন।

জহিরুলের বাবা আবদুল মালেক আবদুল মালেক দাবি করছেন, রেজাউল আদালতে যা বলেছেন তা ঠিক নয়। তাঁর ছেলে চাকু নিয়ে রেজাউলকে মারতে যাননি। রেজাউলই তাঁর ছেলেকে সেদিন একা পেয়ে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আসামি রেজাউলের ফাঁসি দাবি করলেন জহিরুলের বাবা মালেক। তিনি বললেন, ‘এক শ টাকার জন্য আমার ছেলেকে খুন করল রেজাউল।’ জহিরুলের স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আসামি রেজাউলের বাবা আশুলিয়ার একটি চায়ের দোকানদার।