নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে প্রবৃদ্ধি আরও ২ শতাংশ বাড়ত: তথ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। ছবি: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
অনুষ্ঠানে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। ছবি: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও অন্তত ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। তারপরও বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের অন্যতম।’ রোববার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ১০ বছর’ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দু’টি প্রধান অঙ্গীকার ছিল, দিনবদল আর ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে আমরা দু’টি অঙ্গীকার পালনে সমর্থ হয়েছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা বিশ্বে মিঠা পানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে চতুর্থ ও আলু উৎপাদনে সপ্তম। আর ডিজিটাল বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মোবাইল সিম ১৪ কোটি গ্রাহক ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, পঞ্চাশের দশকে ৪৭ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে খাদ্যঘাটতির দেশ, যার ভূমি একটুও বাড়েনি, সেই দেশ আজ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত এবং রপ্তানিকারক। কৃষি খাতে এ অভূতপূর্ব ঘটনা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থারও গবেষণার বিষয়।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ৬ শ ডলারের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে এখন প্রায় ২ হাজার ডলার হয়েছে, রপ্তানি ১০ মিলিয়ন থেকে আজ ৪২ মিলিয়ন ডলার, মানুষের গড় আয়ু ৬৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.৮ বছর। মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে আমরা পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছি, যা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মহা আক্ষেপের বিষয়।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাত ক্ষমতাভোগের জন্য এসেছিল, আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় আসে জনগণের কল্যাণের জন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার। একদিকে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ ভাতা প্রভৃতি চালু করে দরিদ্রকে টেনে তুলছেন শেখ হাসিনা, অন্যদিকে পায়রা বন্দর ও পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান।’

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন সদস্য ড. শামসুল আলম, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান, আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ প্রচার উপ-কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিন উদ্দীন আমিন প্রমুখ গত দশ বছরে এ দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে এর নানা দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এ ছাড়া সেমিনারে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ১০ বছর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও করেন অতিথিবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।