হুইপের বিরুদ্ধে স্লোগান, নাশকতার মামলা

জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গত শনিবার রাতে জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভাইসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। শেরপুরে কৃষক লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার আগে মিছিল থেকে তাঁরা এই স্লোগান দেন।

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুরেশ রাজবংশী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। গতকাল রোববার বিকেলে থানা থেকে শেরপুর সদরের আমলি আদালতে (জিআর) মামলার কাগজপত্র পাঠানো হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেনের ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই আবদুল মতিন ও ইয়াকুব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি হেলাল মিয়া, শহর কৃষক লীগের সভাপতি রুকনুজ্জামান রঞ্জু, যুবলীগ নেতা ওয়াসিম, আবদুল খালেক, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস, নয়ন তালুকদার, শাহিদুর রহমানসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইব্রাহিম খলিল ও আবদুল মতিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী এবং ইয়াকুব স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকার খাদ্যগুদাম মোড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক হাতে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে কয়েকটি অটোরিকশা আটকে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। তাঁরা শহরে মিছিল বের করে হুইপ আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগানও দেন। একপর্যায়ে তাঁরা যানবাহনের কাচ ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় আসামিরা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পুলিশের করা মামলার ঘটনাকে সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করেন কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে কৃষক লীগের অনুষ্ঠান চলাকালে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।