ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি তরুণ নিহত

সীমান্তের প্রতীকী ছবি
সীমান্তের প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় দনগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. সুমন (২২) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ওই সীমান্ত থেকে বিএসএফ মাসুদ রানা (২০) নামের অপর এক তরুণকে আটক করে নিয়ে গেছে।

নিহত মো. সুমন (২২) হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া এলাকার সফিরুল ইসলামের ছেলে। বিএসএফের হাতে আটক মাসুদ রানা একই এলাকার এনাদুলের ছেলে।

এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টায় দনগাঁও সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও আটক ব্যক্তিকে ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে বলে জানায় বিজিবি। বেলা দুইটা পর্যন্ত এই পতাকা বৈঠক চলে।

ওই বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এন এম সামিউন নবী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক আহ্বান করি। বৈঠকে আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। তা ছাড়া আটক ব্যক্তিকে ফেরত চেয়েছি। তবে আটক ব্যক্তিকে এর মধ্যেই তারা ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে বিএসএফ।
আজকের বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এস এইচ এইচ হিনজালাল সিমিত।
স্থানীয় লোকজনের বরাতে বিজিবি জানায়, ভোর চারটার দিকে ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশি দনগাঁও সীমান্তের ৩৫৭ নম্বর পিলার–সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের বসতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এতে সুমন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে তাঁর লাশ সীমান্তে শূন্যরেখার এপারে (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) পড়ে থাকে। ওই সময় মাসুদ রানাকে আটক করে তাঁদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যান।

দুপুরে নিহত সুমনের লাশ সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।