ছুরিকাঘাতে আহত গৃহবধূ বাঁচলেন না

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় চাচাতো ভাশুরের ছুরিকাঘাতে আহত গৃহবধূকে বাঁচানো গেল না। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা গেলেন কোহিনূর বেগম নামের ওই গৃহবধূ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার পর থেকে ভাশুর জহিরুল ইসলাম (৪০) পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটায় শাহরাস্তি উপজেলার ভাটনীখোলা ব্যাপারী বাড়িতে চাচাতো ভাশুর জহিরুল ইসলাম বসতঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে কোহিনূর বেগমকে (৩৫) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।

ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কোহিনূরের দেবর হাবিবুর রহমান শাহরাস্তি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ গত শুক্রবার রাতে জহিরুল ইসলামের বাবা আবদুল খালেক, মা আমিরুননেসা ও ভাই নুর হোসেনকে আটক করেন। তবে ভাশুর জহিরুল ইসলাম পলাতক।


খবর পেয়ে প্রবাসে থাকা স্বামী আরিফুল ইসলাম দেশে ছুটে আসেন।

কোহিনুরের দেবর হাবিবুর রহমান জানান, পরিবারের মধ্যে বিয়ের একটি ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে জহির ঘরে ঢুকে কোহিনুর বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। কোহিনুর রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তিনি মারা যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।