যশোর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, আহ্বায়ক কমিটি গঠন

যশোর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে বিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হককে।

দীর্ঘ ১০ বছর পর গত শনিবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের লালদীঘির পাড়ে দলীয় কার্যালয়ে সভা ডেকে ৫৩ সদস্যের এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠনের জন্য নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে যশোর জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। ১৪০ সদস্যের ওই কমিটিতে শহিদুল ইসলাম নয়ন চৌধুরীকে সভাপতি এবং সৈয়দ সাবেরুল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর এক দশক পেরিয়ে গেলেও জেলা সম্মেলন করা হয়নি। ইতিমধ্যে শহিদুল ইসলামসহ কমিটির ১৮ জন সদস্য মারা গেছেন। বহিষ্কার রয়েছেন ৩ জন।

কমিটি গঠনের সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম ও জয়ন্ত কুন্ডু। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, নগর বিএনপির সভাপতি ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।

নবগঠিত কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে যশোর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কয়েকজন জানান, ১০ বছর জেলা বিএনপির সম্মেলন না হওয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন যশোরে তেমন জোরালো হয়নি। মিছিল-সমাবেশ তুলনামূলক কম হয়েছে। বেশির ভাগ নেতা মামলার ভয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখেন। দলের শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে পুলিশের নাশকতার মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে নির্বাচনের আগে প্রায় সবাই পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এতে ঝিমিয়ে পড়ে যশোর জেলা বিএনপির কর্মকাণ্ড। রাজনীতির মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল নেই। জেলা বিএনপির নিষ্ক্রিয়তার কারণে দলের অঙ্গসংগঠন জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের অবস্থাও নাজুক। যুবদল ও ছাত্রদলে এখন ভাটার টান চলছে।