শোরুমে দুই কোটি টাকার পণ্য ডাকাতির অভিযোগে মামলা

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার বাড়িতে ‘স্টে ইন’ নামে একটি শোরুম থেকে দুই কোটি টাকার পণ্য ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম টিটুসহ (৪৮) অজ্ঞাত চার পাঁচজনকে আসামি করেছেন স্টে ইনের কর্ণধার আবির খান। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

আবির খান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালের ১ মার্চ বনশ্রীর ডি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির নিচতলায় একটি দোকান পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি আট লাখ টাকা অগ্রিম এবং মাসে ৩৮ হাজার টাকা ভাড়া ও দুই হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দেন। বাড়ির মালিক হারুনুর রশিদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর শ্যালক সাইফুল ইসলাম টিটু বাড়িটি তত্ত্বাবধান করেন।

দোকানটির সাজসজ্জায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করেন বলে আবির খান জানান। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল দোকানটি চালু করেন। স্টে ইনের এই শোরুমে প্রসাধন সামগ্রী, গয়না, শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়ে ও শিশুদের পোশাক এবং জুতা বিক্রি করা হতো। কিন্তু কয়েক মাস পর সাইফুল ইসলাম দোকান খুলতে বাধা দেন। তিনি দোকানের কর্মচারীদের মারধর করতেন এবং মালিক ও কর্মচারীদের দোকানে যেতে বাধা দিতেন থাকেন। এক সময় আবির খানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।

আবির খান জানান, এসব ঘটনার পরপর বনশ্রী সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে তিনি দোকানটি চালু করেন। কিন্তু কিছুদিন পর সাইফুল আবারও সাজসজ্জার টাকা ও অগ্রিম আট লাখ টাকা ফেরত না দিয়েই দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এ কারণে দুই কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী থাকার পরও গত পাঁচ মাস ধরে দোকানটি চালু করা যাচ্ছিল না। সবশেষে রোববার দিবাগত রাতে সাইফুল দোকানের তালা ভেঙে মালামাল লুট করে নিয়ে যান। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রোববার দোকানটি সাইনবোর্ড খুলে ক্যাফে বার্গার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টানানো হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস ফকির প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির মালিকপক্ষ ও দোকান মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। তবে ঘটনার তদন্ত করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী পলাতক থাকলেও সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনটি সচল পাওয়া গেছে। তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল গ্রহণ করেননি।