থানায় ছাত্রলীগের হামলা, ওসিসহ আহত ৬

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আব্দুল জব্বার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থানায় হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপপরিদর্শকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আজ সোমবার অজ্ঞাত পরিচয় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এতে ২৫ জনকে আটক করা হলেও ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন আব্দুল জব্বার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী হাসান জিহাদকে নিয়ে রোববার মোটরসাইকেলে করে ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক দিয়ে দক্ষিণে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি ছিল চোরাই (অবৈধ)। গাড়ির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় উপজেলার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য তদবির করেন, কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা থানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা থানার জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর ভোলা শহর থেকে কয়েক গাড়ি পুলিশ এলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এই ঘটনায় থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সারা রাত উপজেলার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করেছে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ জনের বেশি ছাত্রলীগের নিরীহ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের আটক করা হয়নি। আমাদের দাবি, কোনো নিরপরাধ কর্মী যেন জেল না খাটে।’

ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরে আমি পুলিশকে বলেছি, অপরাধী যারাই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় তিনি, উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাইমিনুলসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। থানার জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এসআই মোহাইমিনুল বাদী হয়ে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।