মৎস্য ভবন এলাকায় দুর্ঘটনার জন্য বাসচালক দায়ী: পুলিশ

রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় দুজন মারা গেছেন। বাসটি মিরপুর থেকে শাহবাগ হয়ে মাওয়া যাচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, এ দুর্ঘটনার জন্য স্বাধীন পরিবহনের বাস চালকই দায়ী।

রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চালক দাবি করেছে যে ব্রেক ফেল হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা বলেছিল। কিন্তু এটার সত্যতা কতটুকু, তা যাচাই করা হচ্ছে। সে নিজেকে বাচানোর জন্য এ কথা বলতে পারে। আসলে সে দ্রুতগতিতে বাসটি চালিয়ে আসছিল। সম্পূর্ণ দুর্ঘটনার জন্য ওই বাসচালক দায়ী।

বাসের চালক নজরুল ইসলাম দাবি করেন, শাহবাগ মোড় থেকে ঘোরার সময় বাসটির ব্রেক কাজ করছিল না। এর পর গতি কমিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু মৎস্য ভবনের মোড় ঘুরতে গিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আটক করার পর রমনা থানা পুলিশকে এ কথা বলেন চালক নজরুল।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে থাকায় তাঁর দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জহিরুল ইসলাম শুরুতে এ কথা জানান।

স্বাধীন পরিবহনের চালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জহিরুল ইসলাম বলেন, মোড় ঘুরতে গিয়ে রিকশা, প্রাইভেট কার, বাসসহ সামনে থাকা মোট ছয়টি যানবাহনকে ধাক্কা দেয় স্বাধীন পরিবহনের বাসটি। ধাক্কায় একটি রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে দুজন প্রাণ হারান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মৎস্য ভবনের মোড় থেকে ঘুরে গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় বাসটি সামনে থাকা পরমাণু শক্তি কমিশনের আরেকটি বাসকে ধাক্কা দেয়। সেই বাসটি সামনে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে আরোহী ও চালক গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেক জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান।

এর আগে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা সকাল পৌনে আটটার দিকে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তিরা হলেন শরিফ (২০) ও নূরে আলম (৩০)।