ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করতে রিট

মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল। ছবি: রয়টার্স
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল। ছবি: রয়টার্স

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), দেশের সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রেসপনডেন্ট করা হয়েছে বলে বাসসকে জানান আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। কাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, রোগের চাহিদা ছাড়াও ফার্মেসিগুলোতে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের একপর্যায়ে এসব রোগীর শরীরে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। সম্প্রতি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে মানুষ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় একটি দৈনিকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ কারণে রিট করা হয়েছে।

সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি।