টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ, রিমান্ডে ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমীন ও তাঁর ভাই সুমনকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার গোপালপুর আমলি আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গতকাল বিকেলে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী দোভাষীর মাধ্যমে টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নওরিন মাহবুব তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। বর্তমানে ওই কিশোরী টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান বলেন, আদালতে আসামি আল আমিন ও তাঁর ভাইয়ের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গোপালপুর উপজেলা সদরের এক ব্যক্তি ২৫ বছর আগে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। সেখানে পাকিস্তানি এক নারীকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ১৭ বছর বয়সী ওই কন্যাকে নিয়ে তার মা ছয় মাসের ভিসা নিয়ে পাঁচ মাস আগে গোপালপুরে আসেন। এ সময় ওই কিশোরীর চাচাতো ভাই আল আমীন ১৬ এপ্রিল তাকে অপহরণ করেন। পরে তার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ১৭ এপ্রিল থানায় মামলা করেন। পুলিশ আল আমিনের মাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাঁর দেওয়া তথ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মহিষাকান্দি গ্রাম থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।