বাসের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

আবরার আহমেদ চৌধুরী
আবরার আহমেদ চৌধুরী

রাজধানীর নর্দ্দায় বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তা বাসচাপায় গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) বুধবার এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ রকিবুর রহমান। বাসচাপায় আবরারকে মেরে ফেলার ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি হলেন সুপ্রভাত পরিবহনের কনডাক্টর ইয়াছিন ও বাসমালিক গোপাল সরকার।

সিনথিয়াকে বাসচাপা দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত চার আসামি হলেন বাসচালক সিরাজুল ইসলাম, চালকের সহকারী ইব্রাহিম, সুপ্রভাত পরিবহনের কনডাক্টর ইয়াছিন ও বাসমালিক গোপাল সরকার।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাসচাপায় আবরারকে মেরে ফেলার মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪–সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

গত ১৯ মার্চ সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনে নর্দ্দায় আবরার নিহত হন। এর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ১৯ মার্চ বিইউপির শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বাসটির মূল চালক গুলশানের শাহজাদপুরে কলেজছাত্রী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক হন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় হওয়া মামলায় সিরাজুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি ২৮ মার্চ নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।