বিএনপির সাংসদ জাহিদুর শপথ নিলেন

জাহিদুর রহমান
জাহিদুর রহমান

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) বিএনপি থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাহিদুর রহমান শপথ নেন। জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁকে শপথ পড়ান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শপথের বিষয়ে জানতে জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আজ সকালে জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ার বিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেন।

স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিঠি পেয়ে সংসদ সচিবালয় আজ দুপুরে জাহিদুর রহমানের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে গেছেন বলে তাঁরা শুনেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে দলের কাউকে কিছু জানাননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মোট আটজন নির্বাচিত হন। তার মধ্যে বিএনপি থেকে ছয়জন ও গণফোরাম থেকে দুজন নির্বাচিত হন।

গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হন। তিনি গত ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। এদিন বিকেলেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। এখন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে ৭ মার্চ গণফোরাম থেকে সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানও ২ এপ্রিল শপথ নেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) তিন সাবেক সাংসদকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান নির্বাচিত হন।

রংপুর বিভাগের মধ্যে জাহিদুর রহমানই একমাত্র বিএনপির প্রার্থী, যিনি জয়ী হতে পেরেছেন।

১৯৯১ সাল থেকে জাহিদুর রহমান নির্বাচন করছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর মানুষের সহানুভূতির কারণে তিনি জয়ী হয়েছেন।

জাহিদুর রহমান (ধানের শীষ) ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক। তিনি ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পান। এ ছাড়া মহাজোটের প্রার্থী মো. ইয়াসিন আলী (নৌকা) ৩৮ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ২৭ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন।

আরও পড়ুন: