পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

সড়ক-মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে এই দুই জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের যান চলাচল। এতে সাধারণ যাত্রী ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজি বন্ধ এবং স্থলবন্দরে রাত ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতে দেওয়ার দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতিসহ ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার নয়টি পরিবহন সংগঠন গত রোববার এক যৌথ সভায় এ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন সংগঠনগুলোর বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে কোনো সমাধান না আসায় আজ থেকে ধর্মঘট শুরু করে সংগঠনগুলো। তবে দিনাজপুর জেলা এতে সাড়া দেয়নি।

পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহামুদ বলেন, প্রশাসনকে এসব দাবির বিষয়ে বারবার অবগত করা হলেও সংকট নিরসন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১ এপ্রিল জেলা প্রশাসককে আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন জানান, একই দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলায় সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ জানান, সমস্যার সমাধানে আজ বিকেল চারটায় আবারও বৈঠক হবে।

পঞ্চগড় ১৮ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা মেজর এ টি এম নাজমুল হুদা জানান, স্থানীয় যানবাহনগুলো রাত নয়টা পর্যন্ত চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বন্দরে সন্ধ্যা সাতটার পর পণ্যবাহী গাড়ির ঢোকার ও বের হওয়ার সুযোগ নেই।