ফখরুল ছাড়া অন্য ৪ জনের অপেক্ষায় জাহিদুর

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি দলীয় সাংসদ জাহিদুর রহমান। এ জন্য দল তাঁকে বহিষ্কার করতে পারে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এই সাংসদ মোটেই শঙ্কিত নন।

জাহিদুর রহমান বলেন, ‘দল বহিষ্কার করলে করুক। আমি তো আর দলকে ছেড়ে যাচ্ছি না। আমি দলের সঙ্গেই থাকব। ৩৮ বছর ধরেই তো আছি। সুতরাং আমি এই দলেরই লোক।’

দলীয় পদবির দিক থেকে জাহিদুর রহমান পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি। সংসদের আজকের অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন না জানিয়ে জাহিদুর বলেন, ‘মহাসচিব ছাড়া দলের বাকি সদস্যরাও শপথ নিতে পারেন। দেখি তাঁরা আসেন কি না। এলে একসঙ্গে যোগ দেব।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচন বিজয়ী অপর চারজন হলেন হারুন অর রশিদ, আমিনুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ও মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির এই সাংসদ বলেন, ‘জন্মের পর থেকে এই আসনে বিএনপি কখনো জেতেনি। ১৯৯১ সাল থেকেই আমি নির্বাচন করে যাচ্ছি। সংসদ নির্বাচন করেছি মোট চারবার। তাই এলাকার ৯৫ শতাংশ মানুষ আমার শপথ নেওয়ার পক্ষে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই আসনে কখনো বিএনপি জেতেনি। অর্থাৎ ধানের শীষের জন্মের পর আমিই প্রথম জিতলাম।’

জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এমনিতে আমার আর নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। আমি ক্লান্ত। ১৯৯১ সাল থেকেই তো নির্বাচন করে যাচ্ছি। চারবার সংসদ নির্বাচন এবং একবার পৌর নির্বাচন। বাপের টাকায় রাজনীতি করি। দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা আছে। মামলা চালানোর টাকা তো দল দেয় না। আমাদেরই দিতে হয়।’

শপথ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি শপথ নেওয়া উচিত। কারণ আমাদের নেত্রী কারাগারে। তিনি অসুস্থ। দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তারা জেলে আছে। বাইরে থেকে কিছুই হচ্ছে না। সুতরাং বাইরে থেকে লাভ কী? তার চেয়ে ভেতরেই যাই, অন্তত চিৎকার করে কথা তো বলতে পারব।’

বিএনপির নেতারা আপনাকে গণদুশমন বলে আখ্যায়িত করেছে। এ বিষয়ে জাহিদুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে দলের মহাসচিব আমাদের পাঁচজন নির্বাচিত সাংসদকে ডেকেছিলেন। তিনি শপথ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে এসে সংসদে যোগ দিয়েছি। সুতরাং এ কথা তাঁরা বলতেই পারেন। আরও বলবেন। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’