স্কুলছাত্রী কনে নিয়ে পালালেন মা-বাবা

বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি
বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মহা ধুমধামে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন সেখানে গিয়ে হানা দেন। তবে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কনেকে নিয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে গেলেন মা–বাবা। পরে সেখানে উপস্থিত কনের চাচা মুচলেকা দিয়ে ঘোষণা দেন, তাঁরা এই বিয়ে হতে দেবেন না।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে উপজেলা প্রশাসন পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করল।

উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে এভাবে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। সে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের আয়োজন চলছিল। গতকাল বিয়েবাড়িতে কয়েক শ মানুষের আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সিদ্দিকী জানান, তিনি সেখানে পৌঁছার আগেই ওই স্কুলছাত্রীর মা–বাবা তাঁদের মেয়েকে নিয়ে সরে যান। বরযাত্রীরাও প্রশাসনের লোকজন আসার খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে আর আসেননি। এ অবস্থায় সেখানে উপস্থিত কনের চাচা শহীদ মণ্ডল মুচলেকা দিয়ে বলেন যে তিনি এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করবেন এবং মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে হতে দেবেন না। 

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল গণি মণ্ডল, ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী ও জুলেখা বেগম। এর আগে গত এক সপ্তাহে আরও চারটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে প্রশাসন।