'কপালে মৃত্যু ছিল, তাই মামলা করিনি'

মাগুরার শালিখা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তারিকুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় সমঝোতা করে নিয়েছে বিবদমান পক্ষগুলো। কোনো মামলা করেনি তাঁর পরিবার। আজ শুক্রবার সকালে নিহত ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

যে যাওয়ার, সে চলে গেছে, ঝামেলায় জড়িয়ে আর কী হবে ভেবে মামলা করেনি পরিবার। ঘাতক বাসের মালিক ও চালকেরা বলেছেন, মৃত ব্যক্তির মিলাদে থাকবেন। এর জন্য কিছু খরচ লাগলে তা–ও দেবেন। এদিকে কোনো অভিযোগ ছাড়া উভয় পক্ষ যখন নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ফেলেছে, তখন পুলিশের আর কী করার আছে—এই বলে দায় সারছে থানার পুলিশ। মাগুরার শালিখা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তারিকুল ইসলাম নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় এভাবেই সমঝোতা করে নিয়েছে বিবদমান পক্ষগুলো।

নিহত তারিকুল ইসলাম শালিখা উপজেলার জুনারি গ্রামের শফি মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার বাউনিয়া বাজার এলাকায় একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী তারিকুল।

খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি শালিখা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই ঘাতক বাসটি ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

নিহত তারিকুলের ভাই ফিরোজা আহম্মেদ বলেন, ‘ওর কপালে ছিল, তাই আমরা কোনো মামলা করিনি।’ সমঝোতার ক্ষেত্রে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও মালিক সমিতির নেতাদের সমন্বয়ে বিষয়টির সমঝোতা হয়।

এ বিষয়ে আড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আরজ আলী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনো অর্থ দাবি করেনি। তবে মিলাদে থাকতে চেয়েছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারের কাউকে অভিযোগ করতে থানায় আনা যায়নি। উভয় পক্ষ নাকি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ফেলেছে। তাই রাতে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।