সামির পেলেন ল্যাপটপ

ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় এক পা হারানো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামির উদ্দিনকে ল্যাপটপ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি সামিরের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।

রাজশাহীর নাটোর জেলার ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সামিরকে এ ল্যাপটপ দেন। অনুষ্ঠানে নাটোর-৩ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস, কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জার্জিস কাদির, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শহীদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কোহেলী কুদ্দুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সামির বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সাইফুল ইসলামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কয়েক দিন পরই সামিরের বাঁ পায়ে লাগানো কৃত্রিম পা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু তাঁর দিনমজুর বাবা-মায়ের পক্ষে প্রায় ১ লাখ টাকা দিয়ে ছেলের নতুন পা সংযোজন করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দীন তাঁকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেন। রাজশাহীর সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের সহযোগিতার কৃত্রিম নতুন পা সংযোজন করা হয়।

গতকাল সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে সামির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ আমাকে পড়াশোনা করে দেশকে এগিয়ে নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনেপ্রাণে ধারণ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে তাঁর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।’

সামির উদ্দিন জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ট্রাক্টরের নিচে পড়ে তিনি বাঁ পা হারান। পরে পায়ে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। কয়েক বছর পরপর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে নতুন করে সংযোজনের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি, শিক্ষকদের সহায়তা আর নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এসেছেন।