স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর সংযোগস্থলে মাটি দিল সরিষাবাড়ী বন্ধুসভা

সেতুর সংযোগস্থল প্রথম আলো সরিষাবাড়ী বন্ধুসভা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে ভরাট করে দেয়। গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
সেতুর সংযোগস্থল প্রথম আলো সরিষাবাড়ী বন্ধুসভা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে ভরাট করে দেয়। গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর চর সরিষাবাড়ী গ্রামে যমুনার শাখা নদীর ওপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম আলো সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার উদ্যোগে ওই সেতুর সংযোগস্থল স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়।

তবে বন্ধুসভার সঙ্গে মাটি ভরাটের কাজে যোগ দেন চর সরিষাবাড়ী গ্রামবাসী।

প্রথম আলো সরিষাবাড়ী বন্ধুসভা ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে যমুনার শাখা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এ শাখা নদী পার হয়ে টাকুরিয়া, মানিকপটল, চর সরিষাবাড়ী, বিন্নাফৈর, কুমড়াবাড়ি, বামুনজানি ও ছালাল গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ সদরে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া শাখা নদী পার হয়ে স্কুল–কলেজের ছেলেমেয়েরা উপজেলা সদরে পড়তে যায়। এতে এসব এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

৪ এপ্রিল চর সরিষাবাড়ী গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেদের অর্থায়নে ওই নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রতিদিন গ্রামের নারী–পুরুষ পালাক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতুতে কাজ করছেন। কাঠের সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩১৭ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে প্রায় আট লাখ টাকা। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অর্থের সংকটে তা আগামী ১০ মের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করা হবে বলে জানা যায়।

সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি আলাদিন আল আসাদ বলেন, ‘স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু নির্মাণ করে গ্রামবাসী মহৎ কাজ করেছে। সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকায় আমরাও এই মহৎকাজে শরিক হয়েছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর কবির বলেন, ‘এলাকাবাসীর সহায়তায় কাঠের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এ কাজে মাটি ভরাট করতে যোগ দিয়েছেন সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’