শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপাচার্যকে কটূক্তি করার অভিযোগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিদ্ধার্থ দে কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিদ্ধার্থ দে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি। তবে উপাচার্যকে কটূক্তি করায় সিদ্ধার্থ দের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু নীল দলের শিক্ষকেরা।

বঙ্গবন্ধু নীল দলের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উপাচার্য এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। উপাচার্য ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন সভাপতি সিদ্ধার্থ দে। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু নীল দলের কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধার্থ দের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন সদস্যরা। তাঁর সভাপতিত্বে নীল দলের আর কোনো সভায় শিক্ষকেরা অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ১৭ জন সদস্যের মধ্যে গত মঙ্গলবারের সভায় ১৩ জন স্বাক্ষর করেছেন। বাকিরা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সুজন আলী। এতে উপাচার্যের প্রতি ক্ষিপ্ত হন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দে। সিদ্ধার্থ দে ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে আগ্রহী ছিলেন। ১৭ এপ্রিল সুজন আলীকে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন উপাচার্য এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। পরদিন ১৮ এপ্রিল নিয়োগের বিষয়টি জানতে পারেন সিদ্ধার্থ দে। ওই দিন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। পরে সিদ্ধার্থ দে কোষাধ্যক্ষকে মুঠোফোনে ফোন করে উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি করেন। একপর্যায়ে উপাচার্যের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নিয়েও কটূক্তি করেন সিদ্ধার্থ দে।

কোষাধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৮ এপ্রিল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না। নিয়ম অনুযায়ী ওই দিন আমিই ছিলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সকালে সিদ্ধার্থ দে আমাকে ফোন করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেন। ছাত্র উপদেষ্ট হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি এসব কটূক্তি করেন।’

তবে কটূক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিদ্ধার্থ দে। তিনি বলেন, ‘আমি কটূক্তি করিনি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু নীল দলের কেউ আমার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন কি না আমি সেটিও জানি না। আমি যেহেতু সভাপতি, কাজেই আমাকে ছাড়া কোনো সভা হতে পারে না বলে মনে করি।’