আক্কেলপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে আগুন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে আগুন লেগেছে। ছবি: প্রথম আলো
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে আগুন লেগেছে। ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে আগুন লেগেছে। আজ শনিবার ভোরে কাদোয়া গ্রামবাসী অগ্নিকাণ্ডের খবরটি নিশ্চিত করেছে। আগুনে কমিউনিটি ক্লিনিকে মজুত ওষুধ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। 

কাদোয়া গ্রামবাসীর ভাষ্য, আজ সকালে কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন তাঁরা। দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে ক্লিনিকের মূল ফটক ও ভেতরের ফটকের তালা বাইরে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ঘটনাটি মুঠোফোনে জানান। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভেতর থেকে তাপ বেরোচ্ছিল। স্টোর রুমের দুটি আলমারি খোলা পাওয়া গেছে। ওই দুটি আলমারি ও মেঝেতে থাকা সব ওষুধ পুড়ে গেছে।

আগুনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের মজুত ওষুধ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো
আগুনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের মজুত ওষুধ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো

কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিবার কল্যাণ সহকারী আখতার বানু প্রথম আলোকে বলেন, ১৭ এপ্রিল এই কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল। আগুনে সব ওষুধ, আসবাবপত্র ও ওষুধের রেজিস্ট্রার, রোগী রেজিস্ট্রার ও স্টক রেজিস্ট্রার খাতা পুড়ে গেছে। ক্লিনিকের সোলার প্যানেল ব্যাটারির খোঁজ মেলেনি। ক্লিনিকের ভেতরে সাদা রঙের পাউডার জাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে বলে দাবি তাঁর।

আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাধেশ্যাম আগরওয়ালা বলেন, ‘কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিক আগুনে পুড়ে গেছে। ক্লিনিকের দুটি তালা বাইরে পাওয়া গেছে। এটা নাশকতা নাকি অন্য কিছু, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ণয় করা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিরণ কুমার রায় বলেন, কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিক আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনায় আজ সকালে থানায় একটি জিডি হয়েছে। ওই ক্লিনিকের সার্ভিস প্রোভাইডার খালেদ মোরশেদ এই জিডি করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।