উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল পাস

উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন ও স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ আজ রোববার সংসদে পাস হয়েছে।

বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়।

বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ, কৃষক ও প্রজননবিদদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সরকারের নিয়োগ করা ব্যক্তি। এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে উদ্ভিদের গণ ও প্রজাতি নির্ধারণ করা এবং প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করা।
বিলে কোনো ব্যক্তি সংরক্ষিত জাতের মিথ্যা নাম দিলে বা নিবন্ধিত কোনো জাতের বাণিজ্যিক ব্যবহারের সময় স্বেচ্ছায় কোনো দেশ বা স্থানের মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ দেশে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষাগত যোগ্যতা–নির্বেশেষে গবেষণা অনুদান বা আর্থিক পুরস্কার দিতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের অধিকার সুরক্ষার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, চীন, কোরিয়াসহ বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন কার্যকর রয়েছে।

ভেটেনারি কাউন্সিল বিল উত্থাপন

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ‘বাংলাদেশ ভেটেনারি কাউন্সিল বিল-২০১৯’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।