ঢাবিতে ২৪ ঘণ্টায় দুই ছাত্রী হয়রানির শিকার

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার ঘটনায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এস এম হল) ডাকসুর ভিপি নুরুল হক ও কয়েকজন ছাত্রীকে লাঞ্ছনা-মারধরের ঘটনায় হওয়া তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। এর মধ্যেই গত শনি ও গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরও দুটি ছাত্রী নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা ঘটল।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী তাঁর বন্ধু গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে সংযুক্ত আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হকের নেতৃত্বে প্রথম বর্ষের ছয় থেকে সাতজন শিক্ষার্থী ওই এলাকায় থাকা যুগলদের র‌্যাগ দিচ্ছিলেন। এই দুজনকেও তাঁরা র‌্যাগ দিতে যান। পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা তাঁদের দুজনকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়েছেন নিজের কয়েকজন সহপাঠীর হাতে। ওই ছাত্রী জানালেন, গত বইমেলায় তিনি যুবলীগের স্টলে বসেছিলেন। শাহবাজ ইশতিয়াক পূরণ নামে তাঁর এক সহপাঠী লুকিয়ে তাঁর ছবি তুলেছিলেন। এ নিয়ে পূরণের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা-কাটাকাটি হয়েছিল তাঁর। গতকাল ক্লাসে পূরণ তাঁকে চেয়ার টান দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে পূরণ তাঁর দুই বন্ধু ওবায়দুর রহমান সোহান ও দীপন সাহাকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দুটি ঘটনাতেই ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবারের ঘটনাটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে। আজ হল প্রাধ্যক্ষ অভিযোগকারীর সঙ্গে বসবেন। আর রোববারের ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় প্রধানকে জানানো হয়েছে।’