রোহিঙ্গা শিবিরে রোপণ হবে ৬০ লাখ গাছ

রোহিঙ্গা শিবির। ফাইল ছবি
রোহিঙ্গা শিবির। ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ১১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসস্থল তৈরি করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমিতে প্রায় ৬০ লাখ চারাগাছ রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ইতিমধ্যে তারা তিন লাখ চারা উৎপাদন করেছে। আগামী জুন থেকে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের অন্তত ২ হাজার হেক্টর বিরানভূমিতে চারাগুলো রোপণ শুরু হবে। তিন বছরে লাগানো হবে প্রায় ৬০ লাখ চারা।

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের একটি তারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা এ তথ্য উপস্থাপন করেন। ডব্লিউএফপি ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা বলেন, ৬০ লাখ চারা তৈরির জন্য কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহায়তায় ইতিমধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ৫০টির বেশি নার্সারিতে চারা সৃজনের কাজ চলছে। জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন বনায়ন সৃজনে সহায়তা দিচ্ছে।

সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডব্লিউএফপির চলমান কর্মসূচি ও প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন ডব্লিউএফপির ইসি (ইমারজেন্সি কো-অর্ডিনেটর) পিটার গেস্ট, হেড অব ফিল্ড অপারেশন হাফিজা খান, কর্মকর্তা মাকসুদ আজাদ, নাজনীন সুলতানা, মোহাম্মদ আশিক উল্লাহ, রাজিব মাহমুদ, নুরুন্নবী, এটিএম রেজাউল প্রমুখ।

পিটার গেস্ট বলেন, রোহিঙ্গারা আসার আগে থেকেই ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে সবার কাছে ভালো খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। রাজিব মাহমুদ গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য বনাঞ্চলের দিকে হাত বাড়াতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য দৈনিক ১০ হাজার টন জ্বালানি কাঠের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ৬ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে। এখন ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে পুনঃ বনায়নের পাশাপাশি শরণার্থীদের জ্বালানি কাঠের বিকল্প এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ, পুষ্টি, শিক্ষা, পরিবেশ ও দুর্যোগ বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে।