দুই জলদস্যু বাহিনীর 'গোলাগুলিতে' নিহত ২

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে ‘গোলাগুলির’ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের লুইজ্জার বিলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি বন্দুক, চারটি গুলির খোসা ও ৪০০টি ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছে।

মোহাম্মদ এরফান হোসেন ও মোহাম্মদ কালুর নেতৃত্বাধীন দুই জলদস্যু বাহিনীর সংঘর্ষে জলদস্যুদের ছোড়া ছররা গুলিতে পলাশ বড়ুয়া নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ এরফান হোসেন ওরফে এরফান মাঝি (৩৫) ও মোহাম্মদ নুর হোছন (২৬)। এরফান হোসেনের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের শাহ আলম সিকদারপাড়ায়। আর মোহাম্মদ নুর হোছনের বাড়ি একই উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের ছামিরাপাড়ায়।

পুলিশের দাবি, মোহাম্মদ এরফান হোসেন ওরফে এরফান মাঝি উপকূলের জলদস্যু সর্দার। তিনি দীর্ঘদিন সাগরে জলদস্যুতার পাশাপাশি সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা, জলদস্যু, অস্ত্র, মাদকসহ সাতটি মামলা আছে। আর মোহাম্মদ নুর হোছন জলদস্যুতার পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা আছে।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, দুই জলদস্যু গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই জলদস্যু নিহত হয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৫টি গুলি ছোড়া হয়েছে।

কুতুবদিয়া থানার পুলিশের ভাষ্যমতে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ কালু ও মোহাম্মদ এরফান হোসেনের জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছিল। খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেয়ালি সিকদারপাড়া–সংলগ্ন লুইজ্জার বিল এলাকায় অভিযান চালান। একপর্যায়ে জলদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় জলদস্যুদের ছোড়া ছররা গুলিতে পুলিশ সদস্য পলাশ বড়ুয়া আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি বন্দুক, চারটি গুলির খোসা, ৪০০টি ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জলদস্যুকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গুলিবিদ্ধ দুই জলদস্যুকে পুলিশ কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আহত পুলিশ সদস্য পলাশ বড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।