১৪ বছর পর সম্মেলন, চাঙা নেতা-কর্মীরা

দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৫ সালের ১৪ জুন। তিন বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ বছরে কোনো সম্মেলন হয়নি। আগামী ২ মে জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা জেলার ১৪টি ইউনিটে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

জেলা যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এত বছর পরে সম্মেলন হওয়ায় নেতা–কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বেশি। সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রচার চালাচ্ছেন তিনজন আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আছেন চারজন। তাঁরা সম্মেলনের কাউন্সিলরদের মন জয় করতে নিজেদের মতো করে প্রচার চালাচ্ছেন, আবার কেন্দ্রের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন।

সভাপতি পদে লড়ছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সোহেল হোসেন এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজের সাবেক সহসভাপতি রাশেদ পারভেজ।

সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মামুন উর রশিদ।

জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলায় যুবলীগকে সংগঠিত রাখতে পুরোনো একজনের সঙ্গে নতুন একজনকে দিয়ে কমিটি করতে চায় জেলা আওয়ামী লীগ। সে হিসেবে বলা যায়, আমাকে ডেপুটেশনে রাখা হচ্ছে। আর দুই পদেই একাধিক প্রার্থী থাকাটা নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, প্রতিহিংসা নয়।’

আরেক সভাপতি প্রার্থী রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘বিএনপি–জামায়াতের বিরুদ্ধে সব সময় মাঠে ছিলাম। দলের জন্য নিবেদিত ছিলাম। আশা করছি এর মূল্যায়ন পাব।’ অপর প্রার্থী সৈয়দ সোহেল হোসেন নিজেকে অন্যদের চাইতে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘দলের জন্য কাজ করেছি, আশা করছি এর প্রতিদান পাব।’

যুবলীগের নেতা–কর্মীরা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দিনাজপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এই প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভূমিকা রেখেছে দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। ভবিষ্যতেও যুবলীগকে সংগঠিত রাখতে নেতা–কর্মীরা একটি শক্তিশালী কমিটি চান।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রবিউল আলম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। এত বছর পর সম্মেলন হওয়ায় নেতা–কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।

জেলার ১৩টি উপজেলা এবং সদরের একটি পৌরসভা নিয়ে যুবলীগের ১৪টি ইউনিট। প্রতি ইউনিটে কাউন্সিলর ২৫ জন। জেলা কমিটির ৭১ সদস্যও কাউন্সিলর। জেলা কমিটির তিন সদস্য মারা গেছেন। এবারের সম্মেলনে মোট কাউন্সিলর ৪১৮ জন। সম্মেলনের দিন এই কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে অথবা প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।

জেলা যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন। উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। আর সম্মেলনের প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।