বদলির আদেশ নিয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকালহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বদলির অভিযোগে মামলা করেছেন সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। তিনি গত রোববার বরিশালের সহকারী জজ আদালতে বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

বরিশালের জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষার উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আগৈলঝাড়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মামলার বাদী মো. মিজানুর রহমান আরজিতে বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস আদেশে আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকের বদলিজনিত শূন্য পদ সৃষ্টি হয়। ওই শূন্য পদের বিপরীতে বাদী বর্তমান কর্মস্থল থেকে সদর মডেল স্কুলে বদলির আবেদন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বদলি নির্দেশিকার ৩ এর ১ অনুচ্ছেদে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাদী মিজানুর রহমান ২০০৭ সালের ১ জুলাই চাকরিতে যোগদান করে জ্যেষ্ঠতা অর্জন করলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠতার নির্দেশনা অমান্য করে ২০০৯ সালের ৭ মে চাকরিতে যোগদান করা বারপাইক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকারকে সদর মডেল বিদ্যালয়ে পদায়নের সুপারিশ করে জেলায় প্রেরণ করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। এতে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত এবং সুবিচার থেকে বঞ্চিত হন। যে কারণে বাদী আদালতের কাছে সুবিচার চান।

আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বদলির বিশেষ বিধানে শর্ত অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা এবং ক্যাসমেইট সুবিধার কারণে মুক্তাকে সদর মডেল স্কুলে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষিকা যোগদানও করেছেন। মামলার বিষয়টি আপস মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের। এখানে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে বিবাদী করার সুযোগ নেই।