টাকা ধার না দেওয়ায় হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের রাহুল সরকারকে (১৬) হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ভগ্নিপতি প্রহ্লাদ সরকার (৪৫)। টাকা ধার না দিয়ে গালিগালাজ করায় তিনজন মিলে রাহুলকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রহ্লাদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। হাকিম তারান্নুম রাহাত তাঁর জবানবন্দি নথিবদ্ধ করেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাহুল বাঘী গ্রামের যোগেন্দ্র সরকারের ছেলে। প্রহ্লাদের বাড়ি চাতলপাড়ের কৈরলকোপা এলাকায়। তিনি বাঘী গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। তিনি প্রহ্লাদ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সজীব ব্রিক ফিল্ডে (ইটভাটা) কাজ করেন।

শনিবার রাতে পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রাহুলের একটি মনিহারি দোকান ছিল। ১৩ এপ্রিল রাত প্রায় ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে ফেরার পর থেকে সে নিখোঁজ। পরদিন মধ্যরাতে দোকানের কাছাকাছি ডোবায় রাহুলের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।

লাশ উদ্ধারের পর রাহুলের মামা দ্বিজেন্দ্র বিশ্বাস নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন এটি তদন্ত শুরু করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তিনি রাহুলের ভগ্নিপতি প্রহ্লাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করেন।

পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, জবানবন্দিতে প্রহ্লাদ জানান, ঘটনার চার দিন আগে তিনি রাহুলের কাছে ২ হাজার টাকা ধার চান। রাহুল টাকা না দিয়ে তাঁর মাকে তুলে গালিগালাজ করেন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। পরে স্থানীয় দুই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ওই দুজনও রাহুলের কাছে টাকা ধার চেয়ে পাননি। ১১ এপ্রিল রাহুলের দোকানের একটু দূরে রাস্তার পাশে তিনিসহ ওই দুজন হত্যার পরিকল্পনা করেন। ১৩ এপ্রিল রাত ১১টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁরা রাহুলকে আটকান। রাহুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তাঁরা। পরে তাঁরা লাশ যোগেন্দ্র সরকারের পুকুরের পাড়ে ফেলে দেন। এ সময় লাশের পাশে ইঁদুর মারার বিষ ছিটিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।