সেই বিদ্যালয় ভবনটি পরিদর্শন করেছে দুদক

নতুন ভবন নির্মাণের চার মাসের মাথায় ফাটল ধরা বিদ্যালয় ভবনটি পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভবন নির্মাণের অনিয়মের কারণে এ অবস্থা হয়েছে, এমন অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি দল ভবনটি দেখতে যায়। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৪১ নম্বর চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুদকের দলটি আকস্মিক পরিদর্শন করে।

‘নির্মাণের চার মাস পরই বিদ্যালয় ভবনে ফাটল’ শিরোনামে আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলটি পরিদর্শনে যায় দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল। সংস্থার সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয় থেকে আসা এসব কর্মকর্তা স্থানীয় বাসিন্দা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চরযাদবপুর গ্রামে ৪১ নম্বর চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। টিনশেড মূল ভবনের পাশে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩–এর আওতায় এলজিইডি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। চারতলা ভবনটির একতলার নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চার কক্ষের ভবনটি বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদার। বুঝিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভবনের প্রতিটি জানালার দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা গেছে। মেঝের প্লাস্টারগুলো উঠে গেছে। সিঁড়ি ফেটে আলাদা হয়ে পড়েছে। ভবনের ভিম ও দেয়ালের সংযোগস্থলে ফাটল দেখা দিয়েছে।
মেসার্স আবদুল মান্নান লস্কর নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কুলের ভবনটি নির্মাণ করে।
৪১ নম্বর চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী ১৩৮, আর শিক্ষক আছেন ৪ জন।

অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের নির্দেশে তথ্যানুসন্ধানের জন্য অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বোঝা গেছে, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণে যথেষ্ট অনিয়ম করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা লিখিত আকারে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জানাব। এরপর তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’