নিখোঁজের ২০ দিন পর নদীতে গৃহবধূর লাশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির নলছিটিতে নিখোঁজের ২০ দিন পর ফারজানা আক্তার ওরফে কলি (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে পূর্ব রায়াপুর গ্রামের সুগন্ধা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে তিনি নিখোঁজ হন।

পুলিশ ও তাঁর স্বজনেরা জানান, ফারজানার স্বামী মো. রাসেল মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে এক সন্তানসহ স্ত্রী ফারজানা বসবাস করতেন। গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে রেখে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হন ফারজানা। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

গতকাল সোমবার রাতে নলছিটিতে সুগন্ধা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে আটকে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এদিকে নলছিটিতে নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ফারজানার বাবা সগির হোসেন আজ মঙ্গলবার সকালে থানায় গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে ফারজানা আক্তারের স্বজনেরা কিছু বলতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ফারজানার বাবা সগির হোসেন বলেন, ‘স্বামীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মেয়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁকে খুঁজেও পাইনি। পরে বামনা থানা-পুলিশের কাছ থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নলছিটিতে এসে দেখি আমার মেয়ে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে জানি না। আমি চাই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে রহস্য বের করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান রেখে ময়নাতদন্তে শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।