ফখরুলের আসন নিয়ে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্পিকার

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আবেদন ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সংসদে এসে পৌঁছলে তা গ্রহণ করা হবে। না এলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৯০ দিনের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বিএনপির পাঁচ সাংসদের সংসদে যোগ দেওয়া এবং দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংসদে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার সংসদ নিজ কক্ষে স্পিকার এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার হাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনো চিঠি এসে পৌঁছেনি। সংসদ সচিবালয়ে এসেছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। যদি এসে থাকে এবং ২৯ এপ্রিলের মধ্যে হলে তা গ্রহণ করা হবে।’

সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচিত কোনো সদস্য সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সাংসদের আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন।

বিএনপি থেকে নির্বাচিত চারজন সাংসদ গতকাল সোমবার শপথ নিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শপথ নেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁদের শপথ পড়ান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার বিএনপি থেকে জিতেছেন ছয়জন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শপথ নেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি পাঁচজনই সাংসদ হিসেবে শপথ নেন। শপথ গ্রহণের সময়সীমার শেষ দিনে শপথ নেন তাঁরা।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচন করে বিএনপি। এ জোট থেকে মোট আটজন নির্বাচিত হন। এর মধ্যে গণফোরামের দুজন আগেই শপথ নিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুধু শপথ নেননি। তিনি শপথ নেবেন না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।