রাজশাহীতে শতবর্ষী গাছ কাটার তদন্ত দাবি
রাজশাহীতে অবৈধভাবে শতবর্ষী গাছ কাটার ঘটনার তদন্ত দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাখি, গাছ ও নিস্বর্গপ্রেমী সংগঠন রাজশাহীবাসী। যে সড়কের পাশের গাছ কাটা হয়েছে সেই সড়কটিকে হেরিটেজ সড়ক ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে শতবর্ষী গাছ রক্ষায় আইন প্রণয়নের জন্য আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু, সমাজসেবী মাহবুব টুংকু ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাব্বির অয়নসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পূর্ব ও দক্ষিণে পদ্মাপাড়সংলগ্ন এলাকায় শতবর্ষী প্রায় শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। মোট ৫৬১টি গাছ কারা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের সঠিক অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে টেন্ডার দিয়ে দেয়। এ গাছ কাটার সঙ্গে যাঁরা জড়িত রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
তাঁরা আরও বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা সারা দেশের শতবর্ষী গাছ রক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের জন্য আদালতে যাবেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে গাছ কাটার প্রতিবাদে ২ মে রাজশাহীতে মানববন্ধনের ডাক দেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাব্বির অয়ন বলেন, কীভাবে গাছকে রক্ষা করে ভবন নির্মাণ করা যায়, এখন সেই চেষ্টাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। অনেক জায়গায় হেরিটেজ ভবন ভেঙে ফেলা হয়, সেখানে এ বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞ থাকেন না। তাঁদের মতামতও নেওয়া হয় না। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এ ধরনের ভুলগুলো হয়। যখন ধরা পড়ে তখন অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
এর আগে রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রাচীর নির্মাণের জন্য শতবর্ষী গাছসহ অন্তত ৫৬১টি গাছ কাটা শুরু হয়েছিল। পরে আন্দোলনের মুখে সোমবার বিকেলে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক।