পুঁজিবাজার নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি বাজার নিয়ে ‌‘গেম’ খেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।

আজ মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। সংসদে যোগ দেওয়ায় বিএনপির সাংসদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শেয়ারবাজার অনেকটা জুয়াখেলার মতো। যাঁরা শেয়ারবাজারে যাচ্ছেন, তাঁদের জানা উচিত, এখানে লাভ হতে পারে, লোকসানও হতে পারে। লাভ করলে খুশি, আর না হলে সরকারের দোষ দেওয়া এটা ঠিক না। যাঁরা শেয়ারবাজারে যাবেন, তাঁদের বিবেচনা করে যেতে হবে, কোন কোম্পানির শেয়ার কিনছেন। কোন শেয়ার কিনলে লাভ হবে, সেটা আমরা ঠিক করে দেব না। নিজেদের বিবেচনা করে কিনতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতিমধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাজার স্থিতিশীল রাখতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা নেওয়া হবে। তাঁরা চান শেয়ারবাজার যেন স্থিতিশীল থাকে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বয়স ৩৫ করা হলে চাকরিতে ঢুকতে ঢুকতে ৩৮ বছর হবে। কেউ ২৪ বছর বয়সে চাকরিতে ঢুকবেন, আবার একই চাকরিতে অন্যরা ঢুকবেন ৩৮–এ। বয়সের তফাত অনেক বেশি হয়ে যাবে। আমি বৃদ্ধ বলব না। এই বয়সে চাকরিতে ঢুকলে তত দিনে তাঁরা পৌঢ়ত্বে চলে যাবেন। মাঝের ২৪ থেকে ৩৮–এর সময়টায় তাঁরা কী করবেন? এঁরা পুরো পেনশনও পাবেন না। অন্যদিকে ২২-২৪ বছরের তরুণদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বেশি থাকে। এখন নিয়মিত পিএসএসির পরীক্ষা হচ্ছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সেশনজট আছে। সেটা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু আন্দোলন করলে হবে না, এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সির রঙের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবুজ জার্সিতে লাল রঙে বাংলাদেশ লেখা ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে আইসিসির আপত্তি ছিল, লাল রঙে লেখা যাবে না। সাদা লিখতে হবে। আন্তর্জাতিক খেলায় এই ড্রেস কোড মানতে হয়। এতে যে এটা পাকিস্তানের জার্সি হয়ে গেছে, তা নয়।

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ধর্মান্ধতার শিক্ষা দেয়, তারা নিজেরা কেন মরে না। তারা কেন আগে বেহেশতে যায় না। কেন শিক্ষিত তরুণদের আগে ঠেলে দিচ্ছে। তারা আগে মারা গিয়ে আমাদের জানাক, বেহেশতে গেল কি না।’

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর স্পিকার শিরীন শারমিন সংসদ অধিবেশনের সমাপ্তিসংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পড়ে শোনান।