ত্রিভুজ প্রেমের বলি রাশেদ

ত্রিভুজ প্রেমের কারণে কুমিল্লা নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর এলাকার সুতার কারখানা শ্রমিক মো. রাশেদ হোসেনকে (১৬) গলা কেটে হত্যা করে তার সহযোগী দুই শ্রমিক। এরপর গুম করার জন্য তার লাশ ফুলতলি এলাকায় পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজন জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।

স্বীকারোক্তি দেওয়া দুজন হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মো. রাসেল (১৮) ও সদর দক্ষিণ উপজেলার বানীপুর গ্রামের মো. আরিফ (১৮)। রাশেদ আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার প্রয়াত আবদুর রশিদের ছেলে।

এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই আসামিরা এসব স্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাশেদ, রাসেল ও আরিফ একই সুতার কারখানায় কাজ করতেন। সেখানে রাশেদের সঙ্গে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটিকে রাসেলও ভালোবাসেন। এ নিয়ে রাশেদ ও রাসেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। গত রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাশেদকে নিয়ে রাসেল ও আরিফ কারখানা থেকে বের হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাশেদকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সদর দক্ষিণ উপজেলার ফুলতলি মধ্যমপাড়া ফজলুল হকের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।